এবার ঢাকায় ঈদ করি । শত শত মানুষের সাথে ঈদের নামায পড়েছি এবং নামায ও
খুদবা শেষে ঈমাম সাহেব মোনাজাতে বিশ্ব মানবতা, ঐক্য ও সংহতি চেয়ে দোয়া
করলেন । ঈমাম সাহেব মানাজাতে বললেন “ হে বিশ্ব জাহানের মালিক, আমরা যেভাবে
শৃঙ্খলার সহিত এক কাতারে একসাথে ঈদের নামায আদায় করলাম, তুমি তামাম দুনিয়ার
মুসলমানদের এমন শৃঙ্খলার এবং এমন ঐক্যের বন্ধনে বেঁধে রাখ” । মোনাজাত আমার
হৃদয় স্পর্শ করলো কিন্তু বাসায় ফিরে দেখি বিশৃঙ্খল অবস্থা । কারো ভেতোর
ঈমাম সাহেবের সেই মোনাজাতের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছিলাম না । একজন বলে
হুজুর আমারটা আগে জবাই করে দেন, আর একজন বলে আমারটা আগে, একজন হুজুরকে
এইদিকে টানতে থাকে আর একজন ঐ দিকে । আমি ঈমাম সাহেবের মতো করে মনে মনে বলতে
থাকলাম, “ হে বিশ্ব জাহানের মালিক, আমরা যেভাবে শৃঙ্খলার সহিত এক কাতারে
একসাথে ঈদের নামায আদায় করেছি, তুমি তামাম দুনিয়ার মুসলমানদের তেমন
শৃঙ্খলার এবং ঐক্যের শিক্ষা দাও” ।
হালাল অর্থে কেনা পশুটি আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে জবাই করার মাধ্যমে একজন প্রকৃত মুসলমান মূলত নিজেকে আল্লাহর কাছে সমপর্ণের শিক্ষা নেয়। কুরবানির ঈদ মুসলিম সমাজের ত্যাগের উৎসব । কুরবানির শিক্ষা হচ্ছে ত্যাগ এবং ত্যাগের শিক্ষা দিতে প্রতি বছরই এই ঈদ আসে । আমরা কুরবানি দেই,আমরা গরু খাই, খাসি খাই কিন্তু আসল কাজ ত্যাগের শিক্ষাটা কি গ্রহণ করি ??
ফ্ল্যাটে অনেকগুলো কুরবানির গরু জবাই হয়েছে এবং কসাই সংকটের কারণে একসেট কসাইকে নিদানপক্ষে চারটা – পাঁচটা গরু কাঁটা ছেলা করতে হবে । এক আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া ব্যাক্তির গরু কাঁটা কুটি শেষ করে কসাইরা পাইপলাইনে থাকা তিনটি গরুর পরেরটি ধরতে যাবে কিন্তু ঐ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছওয়ালা কসাইদের ছাড়ে না । তাকে মাংসের ভাগাটাও করে দিতে হবে এবং ছোটো ছোটো পলিথিনের প্যাঁক করে দিতে হবে যা উনি ডীপ ফ্রিজের গলা পর্যন্ত জ্যাম করে রাখবে । ধর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে পাইপলাইনে থাকা গরুওয়ালাদের সাথে হট্টগোলের সৃষ্টি হলো । আমিও মনে মনে আমাদের নাটোরের লোকাল ভাষায় গালি দিলাম- “কাঁটির সোওয়াল মাংস খাবিতো কুরবানির একহাজার টাকা কেজির গোস্ত খাবি ক্যা ...? ঈদের পরে খিলগাঁ শাহজাহানপুরের বিখ্যাত মাংসের দোকান “খলিল গোস্ত বিতান” থেকে বা হাতিরপুল বাজার থ্যাইকা কিনা খা ।
আমাদের ভেতরে মানবাত্মা, পরমাত্মা, পশুর আত্মা, ফেরেশতার আত্মা, হিংস্র আত্মার প্রভাব ক্রিয়াশীল । পশুর আত্মা মানুষকে পশু সুলভ আচরণে আচ্ছন্ন করে রাখতে চায় আর তাকে হিংস্র হতে উদ্বু্দ্ধ করে হিংস্র আত্মা। পরমাত্মা সেটা পছন্দ করেনা বলে বার্তা পাঠায় মানবাত্মার কাছে। মানবাত্মা বাধা দেয় এবং ভেতরে থাকা ফেরেশতার আত্মার প্রচেষ্টা যুক্ত হয় সাথে, তখন মানুষ মানবিক আচরণ করে । কিন্তু কখনো কখনো পশুর আত্মা বা হিংস্র আত্মা জয়ী হয়ে যায়। তখন মানুষের আচরণ আর পশুদের আচরণে কোনো পার্থক্য থাকে না । সে জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আমাদের ভেতরের পশুগুলোকে কুরবানি দেয়া ।
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া কাঁটির সোওয়াল এর কুরবানি দেখে মনটাই বিগড়ে গেলো । রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে একটি কুরবানি দেখে আমি থমকে দাঁড়ালাম । বেশ কিছুক্ষণ স্টিল সি সি ক্যামেরার মতো চেয়ে চেয়ে দেখলাম । চল্লিশ উর্ধ বয়সের একজন ভদ্রলোক উনার ছেলের সাথে ২০ বা ২২ হাজার টাকা দামের গরু কুরবানি করেছে । বাবা পা ধরে রেখেছে আর ছেলে পরম মমতায় ধীরে ধীরে চামাড়া ছড়াচ্ছে । বাবা ও ছেলের চোখে মুখের ফিলিংস দেখে আমার অন্তরটা জুরিয়ে গেলো আর না জানি পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তা কতইনা খুশি হয়েছে । ইচ্ছে করছিলো রাস্তায় দাড়িয়েই দুই হাত তুলে বলি, হে প্রভু, তুমি এই কুরবানিটা কবুল কর ।
আমরা কেউ পশু কুরবানি করেছি, কেউ পারিনি। চলুন, একটি কুরবানি সকলে স্বতঃস্ফুর্তভাবেই করি । আমরা আমাদের ভেতরের পশুগুলোকেও কুরবানি করে ফেলি । ...(-_-)...
হালাল অর্থে কেনা পশুটি আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে জবাই করার মাধ্যমে একজন প্রকৃত মুসলমান মূলত নিজেকে আল্লাহর কাছে সমপর্ণের শিক্ষা নেয়। কুরবানির ঈদ মুসলিম সমাজের ত্যাগের উৎসব । কুরবানির শিক্ষা হচ্ছে ত্যাগ এবং ত্যাগের শিক্ষা দিতে প্রতি বছরই এই ঈদ আসে । আমরা কুরবানি দেই,আমরা গরু খাই, খাসি খাই কিন্তু আসল কাজ ত্যাগের শিক্ষাটা কি গ্রহণ করি ??
ফ্ল্যাটে অনেকগুলো কুরবানির গরু জবাই হয়েছে এবং কসাই সংকটের কারণে একসেট কসাইকে নিদানপক্ষে চারটা – পাঁচটা গরু কাঁটা ছেলা করতে হবে । এক আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া ব্যাক্তির গরু কাঁটা কুটি শেষ করে কসাইরা পাইপলাইনে থাকা তিনটি গরুর পরেরটি ধরতে যাবে কিন্তু ঐ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছওয়ালা কসাইদের ছাড়ে না । তাকে মাংসের ভাগাটাও করে দিতে হবে এবং ছোটো ছোটো পলিথিনের প্যাঁক করে দিতে হবে যা উনি ডীপ ফ্রিজের গলা পর্যন্ত জ্যাম করে রাখবে । ধর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে পাইপলাইনে থাকা গরুওয়ালাদের সাথে হট্টগোলের সৃষ্টি হলো । আমিও মনে মনে আমাদের নাটোরের লোকাল ভাষায় গালি দিলাম- “কাঁটির সোওয়াল মাংস খাবিতো কুরবানির একহাজার টাকা কেজির গোস্ত খাবি ক্যা ...? ঈদের পরে খিলগাঁ শাহজাহানপুরের বিখ্যাত মাংসের দোকান “খলিল গোস্ত বিতান” থেকে বা হাতিরপুল বাজার থ্যাইকা কিনা খা ।
আমাদের ভেতরে মানবাত্মা, পরমাত্মা, পশুর আত্মা, ফেরেশতার আত্মা, হিংস্র আত্মার প্রভাব ক্রিয়াশীল । পশুর আত্মা মানুষকে পশু সুলভ আচরণে আচ্ছন্ন করে রাখতে চায় আর তাকে হিংস্র হতে উদ্বু্দ্ধ করে হিংস্র আত্মা। পরমাত্মা সেটা পছন্দ করেনা বলে বার্তা পাঠায় মানবাত্মার কাছে। মানবাত্মা বাধা দেয় এবং ভেতরে থাকা ফেরেশতার আত্মার প্রচেষ্টা যুক্ত হয় সাথে, তখন মানুষ মানবিক আচরণ করে । কিন্তু কখনো কখনো পশুর আত্মা বা হিংস্র আত্মা জয়ী হয়ে যায়। তখন মানুষের আচরণ আর পশুদের আচরণে কোনো পার্থক্য থাকে না । সে জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আমাদের ভেতরের পশুগুলোকে কুরবানি দেয়া ।
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া কাঁটির সোওয়াল এর কুরবানি দেখে মনটাই বিগড়ে গেলো । রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে একটি কুরবানি দেখে আমি থমকে দাঁড়ালাম । বেশ কিছুক্ষণ স্টিল সি সি ক্যামেরার মতো চেয়ে চেয়ে দেখলাম । চল্লিশ উর্ধ বয়সের একজন ভদ্রলোক উনার ছেলের সাথে ২০ বা ২২ হাজার টাকা দামের গরু কুরবানি করেছে । বাবা পা ধরে রেখেছে আর ছেলে পরম মমতায় ধীরে ধীরে চামাড়া ছড়াচ্ছে । বাবা ও ছেলের চোখে মুখের ফিলিংস দেখে আমার অন্তরটা জুরিয়ে গেলো আর না জানি পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তা কতইনা খুশি হয়েছে । ইচ্ছে করছিলো রাস্তায় দাড়িয়েই দুই হাত তুলে বলি, হে প্রভু, তুমি এই কুরবানিটা কবুল কর ।
আমরা কেউ পশু কুরবানি করেছি, কেউ পারিনি। চলুন, একটি কুরবানি সকলে স্বতঃস্ফুর্তভাবেই করি । আমরা আমাদের ভেতরের পশুগুলোকেও কুরবানি করে ফেলি । ...(-_-)...